
পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের বিধায়ক ও আইএসএফ (Indian Secular Front) নেতা নওশাদ সিদ্দিকী ২০ আগস্ট ২০২৫-এ কলকাতার ধর্মতলায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।বিক্ষোভে ওয়াকফ সংশোধন আইন প্রত্যাহার, পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার এবং SIR ইস্যুসহ একাধিক দাবি উত্থাপন করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালীন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর নওশাদ সিদ্দিকী সহ মোট ৯৫ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২১ আগস্ট ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সকল গ্রেফতারকৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়।আদালত সেদিনই দ্রুত জামিন মঞ্জুর করেন, ফলে নওশাদ সিদ্দিকী ও তার দলীয় কর্মীরা মুক্তি পান।
মুক্তির পর নওশাদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন— “এই লড়াই চলছে… জেলে আমাদের আটকে রাখা যাবে না… লড়াই এখন সবে শুরু হয়েছে।”
এই ঘটনার পর কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে: আইন বনাম প্রতিবাদ: গণতন্ত্রে প্রতিবাদ করার অধিকার থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায়শই কঠোর অবস্থান নেয়।
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত: পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে আইএসএফ ও নওশাদ সিদ্দিকীর ভূমিকা আরও জোরদার হতে পারে।
নওশাদ সিদ্দিকীর এই গ্রেফতার থেকে মুক্তির ঘটনাটি শুধু এক দিনের বিক্ষোভ নয়, বরং রাজ্যের রাজনীতিতে এক গভীর বার্তা বহন করছে।প্রতিবাদ, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অবস্থানের লড়াই—এই তিনটি বিষয়ই সামনে এনে দিল এই ঘটনা।